আমেদাবাদে বিশ্বকাপ যাত্রার চূড়ান্ত যুদ্ধ
আমার বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি:মুম্বাইয়ের সেমিফাইনাল যুদ্ধ জয়ের পর ভারতীয় ক্রিকেট দল আমেদাবাদ পৌঁছাল কাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। স্বপ্নপূরণের এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে রোহিত শর্মারা। টানা ১০ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত। ১২ বছর পর আবারও সুবর্ণ সুযোগ। ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে ৩৯৭রানের টার্গেট রেখেও একটা সময় ভারতকে চাপে পরতে হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে। অন্যদিকে বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচে পরাজয়। অস্ট্রেলিয়া দলকে দেখে প্রথমে মনে হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপে আর সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারবে না প্যাট কামিন্সরা। দিনের শেষে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও বলে থাকেন দলটির নাম অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ পরাজয়ের পর পয়েন্ট টেবিলে ১০ নম্বরে থাকা দলটা টানা ৮ ম্যাচ জয়ী হয়ে এখন বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে চলেছে। প্রতিপক্ষ ভারত। একাংশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বা বোদ্ধারা ফাইনালে শক্তিশালী ভারত বললেও অন্য একটি অংশ তা মানতে নারাজ। নিঃসন্দেহে ভারতীয় দল ফর্মের তুঙ্গে থাকা ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দল নিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। তবে এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে শুরু থেকে ধাক্কা খেয়ে প্রতিটা ম্যাচ লড়াই করে ফাইনালে পৌঁছাল তা কম নয়। আয়োজক দেশ ভারত দাপটের সঙ্গে সব ম্যাচ জয়ী হয়ে ফাইনালে। এই বিশ্বকাপের আসরে রোহিত-বাহিনীকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়নি একটি ম্যাচেও। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারত টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পর ফাইনালে পৌঁছালেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে গোটা দেশের ক্রিকেট
ভক্ত-অনুরাগীরা জোর ধাক্কা খাবেন এটা বলাই যায়। আমেদাবাদে বিশ্বকাপ যাত্রার চূড়ান্ত যুদ্ধে রোহিত শর্মা না প্যাট কামিন্স কার হাতে ট্রফিটা উঠবে তা দেখার প্রতীক্ষায় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। ফাইনালে পৌঁছে ভারতীয় অধিনায়ক একটি মন্তব্য করেছেন, “কাজ এখনও শেষ হয়নি।” অন্যদিকে অ্যারণ ফিঞ্চ বলেন,”এই ভারতকে থামানোর ক্ষমতা একমাত্র প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া টিমেরই রয়েছে। (ছবি:সংগৃহীত)