ই-বর্জ্য নিয়ে উদ্বেগ
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: দেশে ই-বর্জ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই সমস্যার সুরাহা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন বিস্তর। আন্তর্জাতিক ই-ওয়েস্ট মনিটর -২০২০ অনুযায়ী জানানো হয়েছে,ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম ই-বর্জ্য উৎপাদনকারী দেশ। চিন ও আমেরিকা প্রথম দুটি স্থানে রয়েছে। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে,২০১৯-২০২০ সালে ভারত সর্বমোট ১০ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৬১ টন ই-বর্জ্য উৎপাদন করে। পূর্বের বছরের তুলনায় যা ৩২ শতাংশ বেশি।
এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়,এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য থেকে ২০১৮-১৯ সালে মাত্র ৩.৬ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ রিসাইক্লিনিং-র জন্য সংগৃহীত হয়েছিল। অন্যদিকে দেশে এই বিশাল অংশের ই-বর্জ্য স্থানীয়ভাবে কেনা-বেচা হয়ে থাকে। তবে তা হয় পরিকল্পনাহীন। অপরিকল্পিত এই কাজের জন্য দূষণও ছড়ায় পরিবেশে । ই-বর্জ্য-এর মধ্যে রয়েছে বাতিল মোবাইল ফোন,লিথিয়াম ব্যাটারি,কম্পিউটার ও তার যন্ত্রাংশ সহ বহু রকম সামগ্রী। এ সবের মধ্যে রয়েছে আন্টিমনি,আর্সেনিক,বেরিলিয়াম,সিসা,পারদ, নিকেল প্রভৃতি।
সেগুলি সতর্কতা ছাড়া ভাঙার কাজ হলে ক্ষতিকর গ্যাস পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে। ক্রমশ দূষিত হচ্ছে জলাশয় ও পরিবেশ। মানুষের শরীরেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতি বছর ৫ জুন পরিবেশ দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। এ সবের গুরুত্ব সেভাবে দেওয়া হয় কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।