নিজেকে ভালো রাখার উপায়
আমার বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজেকে ভালো রাখার উপায়গুলি একঝলকে জেনে নিন। এতে সুস্থ ও সতেজ থাকতে পারবেন। সুস্থ মনে চলার অনুপ্রেরণা পাবেন। প্রাচীন আমল থেকেই মুনী-ঋষিরা বেশ কিছু উপদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা বাস্তব জীবনে এসবের প্রয়োগের কথাও বলে থাকেন। আবার বিশিষ্ট মনরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ঘুম থেকে উঠে লক্ষ্য রাখার বিষয় হল-এমন কিছু করবেন না যাতে সারাদিনের কাজের উপর প্রভাব পড়ে।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত,সূর্যোদয় বা ভোর হওয়া দেখুন। সকালটা উপভোগ করলে ভালো হয়। মন খুব অশান্ত হয়ে উঠলে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে হবে। এক্ষেত্রে মন কিছুটা শান্ত হয়ে উঠবে। প্রতিদিন কাউকে না কাউকে নমস্কার করবেন। এরফলে আপনার মনের অহঙ্কার অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। মানুষের সমালোচনা,অপমান ও চাপ মেনে নিতে শিখতে
হবে। এতে আপনার পথ চলতে অনেকটাই সহজ হবে। নিজেকে কখনও অন্যের কাছে প্রমাণ করতে যাবেন না।
প্রখ্যাত মনরোগ বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, যদি কোনও সম্পর্ক অটুট করতে আগ্রহী হন তাহলে রাগের সময় বলা কথা মনে রাখবেন না। কারও সঙ্গে মজা করার আগে ভেবে দেখবেন,আপনার মজা করায় সে কষ্ট পাবে কিনা। খেয়াল রাখবেন, অন্য জনের কান্নার কারণ যেন না হয়। কারও সম্পর্কে না জেনে কখনই কিছু মন্তব্য করবেন না। না বুঝে কথা বলার জন্য ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সময়কে ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। সময় নদীর স্রোতের ন্যায় । বয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। সব সময় মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হবে। মনের ভাষা থেকে চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। অন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা বাদ দিতে হবে। প্রত্যাশা করে যদি না পান তাহলে মন খারাপ হয়ে যাবে। সব সময় নিজের কাছে প্রত্যাশা করা উচিত। অন্যের মত হতে চেষ্টা করবেন না।
চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত রাগ শরীরের ক্ষতি করে। মোটিভেশনাল গল্প অথবা ভিডিও দেখতে পারেন। এতে কাজে আগ্রহ বাড়বে। দিনের শেষে সারাদিনের কাজের বিবরণ লিখে রাখলে ভালো। পরবর্তী দিনে সমস্যাগুলো সরিয়ে নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে পারবেন। (ছবি: সংগৃহীত)