কেমিক্যালমুক্ত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ শুকনো পান-এ স্বীকৃতি পূর্ব মেদিনীপুরের হরিপদ দলুইয়ের

Leaves of betel (pan masala) on the market in Goa

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : এবার পান পাওয়া যাবে শুকনো অবস্থাতেই। আবিষ্কারক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষা দলের দনিপুরের বাসিন্দা হরিপদ দলুই। বেশ কয়েক বছর আগে পান প্রক্রিয়াকরণের উদ্যোগ নিতে শুরু করলেন তিনি। এরপর চলতে থাকলো গবেষণা। গ্রাম বাংলার ফেলে দেওয়া পান সংগ্রহ করে কাজে নেমে পড়লেন হরিপদবাবু। ২০১০ সালে তিনি কিছুটা এই প্রয়াসের সাফল্য পেলেন। তাঁর এই নিরন্তর গবেষণায় পাশে পেলেন বন্ধু প্রসেনজিৎ মাইতিকে। এরপর হরিপদবাবু গুঁড়ো পানের পুষ্টির মান পরীক্ষা করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠালেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পর মিললো কেমিক্যালমুক্ত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ পানের স্বীকৃতি। পরে এই গুঁড়ো পান ফেসাই থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে। এই প্রস্তুতির বিষয়ে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে পান বরোজ থেকে কাঁচা পান সংগ্রহ করতে হয়। এরপর ভাল করে রোদে শুকানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। পরবর্তীতে তা গুঁড়ো করতে হয় মেশিনে। গুঁড়ো পানের সঙ্গে মেশানো হয় এলাচ, পানমৌরি, ষষ্ঠীমধু-সহ বিবিধ উপকরণ। ওই পান প্যাকেটজাত হয়ে বাজারে বিক্রির প্রক্রিয়া চলে। ছোট প্যাকেটের মূল্য ৫ টাকা ও বড় ৫০ গ্রামের কৌটার দাম ৫০ টাকা। এই শুকনো পান বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা খাওয়ার পর উপকারও পাচ্ছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গিয়েছে। হরিপদ দলুই আবিষ্কারও করে ফেলেছেন পান গুঁড়ো করার মেশিন। এছাড়া ২০ জন তরুণ-তরুণী কাজও করছেন সেখানে।

Related posts

Leave a Comment