পশ্চিমবঙ্গের ভূগর্ভস্থ জলের পরিস্থিতিঃ কেন্দ্র ও রাজ্যের মতপার্থক্যে এখনও চূড়ান্ত হয়নি

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের ভূগর্ভস্থ জলের পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা নিয়ে মাথা-ব্যথা রয়েছে। গত কয়েক বছরে কতখানি পরিবর্তন হল, তা খতিয়ে দেখার ভাবনাও রয়েছে। তবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মতপার্থক্যে এখনও তা চূড়ান্ত করা হয়নি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিকতম প্রকাশিত রিপোর্টে এ রাজ্যের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের তথ্যই উল্লেখিত রয়েছে। ওই তথ্যে ভূগর্ভস্থ জলের নিরিখে রাজ্যের ক্রিটিকাল ব্লকের সংখ্যা একটি এবং সেমি ক্রিটিকাল ব্লকের সংখ্যা ৭৬টি। উল্লেখ্য, রাজ্যগুলির ভূগর্ভস্থ জলের পরিস্থিতি আন্দাজ করতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর যৌথভাবে সমীক্ষা করে থাকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড (সিজিডব্লুবি) এবং রাজ্য সরকারি সংস্থা স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেট (সুইড) এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। পাশাপাশি ব্লকগুলিতে বছরে যে পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল জমে, তার কত অংশ উত্তোলন করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য ব্লকগুলিকে ওভার এক্সপ্লয়টেড, ক্রিটিকাল, সেমি ক্রিটিকাল এবং নিরাপদ ব্লক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, ২০০৩-০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে সেমি ক্রিটিকাল ব্লকের সংখ্যা ছিল ৩৮টি। ২০০৮-০৯ সালেও সেই সংখ্যার পরিবর্তন ঘটেনি। আবার ২০১১ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাজ্যে সেমি ক্রিটিকাল ব্লকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪টি। ২০১৩ সালের সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে সেমি ক্রিটিকাল ব্লকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ এবং একটি ব্লক ক্রিটিকাল পর্যায়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য নীতিগতভাবে তা মেনে নিলেও, তা নিয়ে পৃথক কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। এবারও ২০১৭ সালের সমীক্ষার যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এক্ষেত্রে সিজিডব্লুবি-র পর্যবেক্ষণ, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আগের থেকে অনেকটাই তফাৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাও পাওয়া সম্ভব হয়নি। রাজ্য স্তরের কমিটিও তা অনুমোদন করেনি বলে জানা গিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে রাজ্যভিত্তিক মূল্যায়নে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের তথ্যই আপাতত উল্লেখ করা হচ্ছে।