KPOthers 

আবারও প্রমাণিত পুলিশ আদতে বন্ধু

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : কলকাতার জয়সওয়াল বিদ্যামন্দির গার্লস স্কুলের সামনে কেঁদে চলেছে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁর অসহায় অবস্থার খবর পৌঁছায় পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট চৈতন্য মল্লিকের কাছে।এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে পৌঁছে যান তিনি। পরীক্ষা শুরু হতে তখন প্রায় ১০মিনিট বাকি। তিনি দেখতে পেলেন ওই পরীক্ষার্থী মেয়েটি কাঁদছে।আর সে মুখে বলছে,আমি এখন কি করবো ও কিভাবে পরীক্ষা দেব। চৈতন্যবাবু তখন জানতে পার লেন। পরীক্ষার্থীর নাম সুমন কুড়ে।তাঁর বাড়ি সাউথ ট্যাংরায়। পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে সে দেখে এডমিট কার্ড আনে নি।বাড়িতে এডমিট কার্ড আনতে গেলে আর পরীক্ষা দেওয়া হবে না।এরপর কি করবে সে বুঝে উঠতে পারে না।মেয়েটির মুখে এই কথা শোনার পর ওই সার্জেন্ট পরীক্ষার্থীকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে যান। সেখানে যিনি ইনভিজিলেটর ছিলেন তাঁকে তিনি অনুরোধ করেন মেয়েটিকে পরীক্ষায় বসতে দিতে । তিনি মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে এডমিট নিয়ে আসবেন এমন কথা বলেন । ইনভিজিলেটরও রাজি হয়ে যান। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা এক পরিচিতকে নিয়ে তিনি গেলেন সুমনের বাড়িতে। এডমিট কার্ড নিয়ে ১২টা ২০মিনিট নাগাদ পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালেন। ওই পরীক্ষার্থীর হতে এডমিড কার্ড দেওয়ার পর উভয়েরই স্বস্তি।পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে ওই সার্জেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে অঙ্ক পরীক্ষা দিল মেয়েটি। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবার সময়ই কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা জানিয়েছিলেন,যেখানেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বিপদে পরবে সেখানেই পুলিশকর্মীরা সাহায্যে এগিয়ে আসবে।সর্বদা পুলিশ কর্মীরা সতর্ক রয়েছে। পুলিশ মানবিকতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত তুলে ধরলো।এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই ঘটনা চতুর্থবার হল।

Related posts

Leave a Comment