করোনা প্রতিরোধে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হল সতর্কতা ও সাবধানতার জন্য। বারবার হাত ধুয়ে ফেলা অত্যন্ত জরুরি। নোভেল করোনা প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকরী উপায় বলা যেতে পারে। (১) হাঁচি-কাশির পর, আক্রান্তের পরিচর্যার পর, রান্নার আগে ও পরে, খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ভাল করে ধোওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি পশুর সংস্পর্শে এলে বা পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের পর হাত জীবাণু মুক্ত করতেই হবে।
(২) হাত জীবাণু মুক্ত করতে সাবান এবং পরিষ্কার জল ব্যবহার করা দরকার। ২০ সেকেন্ড ধরে ভাল করে হাত ধুয়ে নেওয়া দরকার।
(৩) সাবান ও পরিষ্কার জলের ব্যবস্থা না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার অবশ্যই করুন। মাথায় রাখতে হবে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে, এমন হ্যান্ড স্যানিটাইজারই ব্যবহার জরুরি।
(৪) এই সময় অযথা চোখ, নাক ও মুখে হাত দেবেন না। হাত পরিষ্কার থাকলে তবেই নাক, চোখ ও মুখে হাত দিতে পারবেন।
(৫) সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত ফেস মাস্ক ব্যবহারের দরকার পড়ে না। নোভেল করোনা আক্রান্তের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং তাঁর পারিবারিক পরিচর্যাকারীদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করাটা জরুরি।
(৬) এই সময়ে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
(৭) হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করে বা পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করে মুখ ঢেকে ফেলতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু মুখবন্ধ ডাস্টবিনেই ফেলবেন। টিস্যু ফেলে দেওয়ার পর হাত-সহ রুমাল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
(৮) হাতের কাছে টিস্যু না থাকলে মুখ ঢেকে হাঁচতে-কাশতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অন্যের যেন কোনও ক্ষতি না হয়।
(৯) আপনার বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে জীবাণু মুক্ত রাখুন। বাড়ি ছাড়াও অফিসের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, টেবিল, ইলেকট্রিক সুইচ, কম্পিউটার কি বোর্ড-সহ টয়লেট প্রভৃতি জীবাণু মুক্ত রাখতে সহযোগিতা করুন।
(১০) চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে আক্রান্ত রোগী বা আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছাকাছি যাবেন না।
(১১) কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকলে কোনও দ্বিধা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ফেস মাস্ক পড়বেন। এই শারীরিক অবস্থায় বাড়িতে আলাদাভাবে থাকতে চেষ্টা করুন। তা পরিবার ও সমাজের পক্ষে ভাল হবে।