Neture JournalEnviornment Others World 

২০১৫ সালে “নেচার” জার্নালে ছিল সতর্কবার্তা

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ৫ বছর আগেই ছিল এমন সতর্কবার্তা। আশঙ্কা ছিল, চিনা বাদুরের থেকে সার্সের মতোই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের দেহে। তা হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। ২০১৫ সালে “নেচার” জার্নালে প্রকাশিত হয় এমন সতর্কবার্তাই। সেই উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন গবেষকরা। সেই স্টাডির সহ-লেখক শি জেঙ্গলি গত মাসেই এই সংক্রান্ত আরও একটি স্টাডি প্রকাশ করেছেন। তাতে উল্লেখ করেছেন, কোভিড-১৯-এর উৎস চিনের বাদুরই। আবার উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষক জেঙ্গলির দাবি ছিল, ২০১৯-এনকোভ, যা চিনে নিউমোনিয়ার মতো অসুখ ছড়াচ্ছে, তার সঙ্গে বাদুরের করোনা ভাইরাসের মিল প্রায় ৯৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের স্টাডিতে জোর দেওয়া হয় “এনএইসি ০১৪-কোভ” সংক্রমণের উপর। ওই সময় এই ভাইরাসই চিনে বাদুরকুলের মধ্যে ছড়িয়েছিল। ওই স্টাডির ভিত্তিতেই পশু-পাখি থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। অন্যদিকে “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ”-এর গবেষক ডেভিড এম মোরেন্স “নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন”-এ জানিয়েছেন, আমাদের ৭৮০ কোটির মানুষের বিশ্বে মানুষের পরিবর্তিত আচরণ, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং অপর্যাপ্ত জনস্বাস্থ্য পরিষেবাই পশু-পাখির দেহ থেকে ভাইরাস অনায়াসে মানুষের দেহে সংক্রামিত করতে পারে। আবার ২০১৭ সালে করোনা ভাইরাসের বৈচিত্র্য নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। এক্ষেত্রে চিনের ২১ প্রজাতির ১০৬৭টি বাদুরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৭৩টি দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ক্যালিফোর্নিয়া-বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাদুরের কোষে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। লালারস, প্রস্রাব এবং মলমূত্রে অসংখ্য ভাইরাস বহন করলেও তারা নিজেরা সুস্থ থাকতে পারে। ওই ভাইরাস খুব সহজে অন্য পশু বা মানবদেহে ছড়িয়ে দিতে পারে।

Related posts

Leave a Comment