বাড়িতেই মাস্ক তৈরি করে নজির পরিমলবাবুর
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: মাস্ক কেনার ভিড়। ওষুধের দোকানগুলিতে ভিড় লেগেছিল। কোনও কোনও দোকানে “নো-মাস্ক” লেখা সাইনবোর্ডও দেখা গিয়েছে। এরপরই গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা পরিমল দে নেমে পড়লেন মাস্ক তৈরির কাজে। ৭৩ বছর বয়সী ওই ভদ্রলোককে পথ দেখাল গুগল ও ইউটিউব। সেই দেখানো পথেই তৈরি করলেন মাস্ক। বাড়িতে মাস্ক বানিয়ে বিলিও করতে শুরু করেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা পম্পা মন্ডল, বাপ্পা ঘোষ, পরেশ কর্মকার, পুতুল মণ্ডলরাও থেমে থাকেননি। যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক রোমিতা দে-ও।
পরিমালবাবু মাস্ক তৈরির প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আগে বুঝে নিয়েছিলাম, কীভাবে মাস্ক কাজ করে, সেই তত্ত্বটা। এরপর কাপড় ও পাতলা কাগজ ভাঁজে ভাঁজে মুড়ে বাড়িতেই মাস্ক তৈরি শুরু করেছিলাম। প্রথমটা অনভ্যস্ত হাতে একটু সময় লাগত। এখন সড়গড় হয়ে গিয়েছি। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে শিখিয়েও দিয়েছেন মাস্ক তৈরির এই নয়া কৌশল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিমলবাবুদের উদ্যোগে প্রায় ৫ হাজার মাস্ক তৈরি হয়েছে। কাছাকাছি বিভিন্ন বস্তিতে এই মাস্ক বিলি করাও হয়। এমনকী সমাজসেবী সংস্থার হাতে মাস্ক তুলে দেওয়াও হয়েছে বলে খবর।