অন্তঃসত্ত্বাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, সচেতনতা জরুরি
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : এই সময় অন্তঃসত্ত্বাদের সচেতনতা জরুরি। এই আশঙ্কা বাড়ছে এখন মা হতে চলা সকল নারীদেরই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বাদের ঝুঁকি তো থাকছেই। তবে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি তথ্য সামনে আসেনি। গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। তাই এই সময় যে-কোনও ফ্লু বা অন্য কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় অনেকের শ্বাসকষ্টের প্রবণতা দেখা যায়। এরপর সংক্রমণ হলে অন্তঃসত্ত্বাদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে যে-কোনও ধরনের কাশি ও জ্বর হলে প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। আবার এই সময় গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতির সম্ভাবনা ঠিক কতটা থাকে, তা বলা সম্ভব না হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অন্য ধরনের সংক্রমণে অনেক ক্ষেত্রেই গর্ভপাত, শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া, জন্মগত ক্রটি হওয়া বা উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরের জন্য গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হওয়ার ভয় থেকেই যায়। এই সময় সাবধানতা কতটা নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানালেন, বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে হলে চাই সচেতনতা এবং হাইজিন সেন্স। অন্তঃসত্ত্বাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, সেজন্য তাঁদের সচেতনতা বেশি করে দরকার হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ- এই সময় জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। আবার খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বার হওয়া উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে অন্তঃসত্ত্বাদের আইসোলেশনে থাকাই ভাল। আবার অসুস্থ ব্যক্তিদের আশপাশে যাওয়া একেবারেই ঠিক কাজ নয়। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যালকোহল-যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। যাতে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে, সেটাই রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপের প্রয়োজন হয়, তবে এই সময়টায় হাসপাতালে কম যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ১৫ দিনের পরিবর্তে ১ মাস পর চেকআপ করালে সমস্যা না হলে তাই করানো ঠিক হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সবটাই করতে হবে। এই সময় হবু মায়েদের ফিট থাকাও খুব জরুরি। বাড়িতে বসে হালকা যোগব্যায়াম করাও যেতে পারে।