আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আক্রান্ত হয়েছিলেন এক বিধায়ক। এবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের প্রহৃত হওয়ার ঘটনা। নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে প্রহৃত হয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন হতে হল দুই অন্তঃসত্ত্বাকে। ৩১ জানুয়ারি দুপুরের ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। আরজি করের উপাধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আপাতত দুই প্রসূতিকে ভর্তি রাখা হয়েছে গাইনি বিভাগে। তাঁরা স্থিতিশীল রয়েছেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে আপাতত কাজ থেকে সরানো হয়েছে। আমাদের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন সুদর্শন ঘোষদস্তিদারের নির্দেশে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রের খবর, দুপুরে প্রসূতি বিভাগে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চেস্ট বিভাগে চিকিৎসাধীন পরিজনকে দেখতে যান বেলগাছিয়ার দুই বোন অঞ্জু এবং মঞ্জু বিবি। এক্ষেত্রে অভিযোগ, ভিজিটিং আওয়ার্স ছাড়া রোগী দেখার জন্য জন-প্রতি ২০ টাকা করে দাবি করেন নিরাপত্তারক্ষী। টাকা দিতে আপত্তি করেন দুই বোন। এরপরেই নিরাপত্তারক্ষী ও আয়াদের সঙ্গে বচসার সৃষ্টি হয়। ওই সময়ে দুই প্রসূতিকে ধাক্কা মারেন এক নিরাপত্তারক্ষী, এমনও অভিযোগ। এমনকী ৪ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। আবার ৩ মাসের আর এক প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ আয়ার বিরুদ্ধে। ২ জনই অসুস্থ বলে খবর। আত্মীয়-পরিজনদের কাছে এ খবর পৌঁছায়। এরপর হাসপাতালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। টালা এবং মানিকতলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই প্রসূতির আত্মীয়-পরিজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে কেন ঘুষ দিতে হবে রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য, ওঁরা বলে দিতে পারতেন, দেখা হবে না। কিন্তু গায়ে হাত তুলবেন কেন? যদি ওই ২ জনের বা ওদের সন্তানদের কিছু হয়, তার দায়িত্ব কে নেবে? আরজি করে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। উল্লেখ্য, এই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে হেনস্থা হওয়ার ঘটনা ঘটে পাণ্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক শেখ আমজাদ হোসেনের। তাঁর সরকারি নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলা হয় বলেও অভিযোগ।

Related posts

Leave a Comment