fast foodHealth Lifestyle 

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে সচেতনতা

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কোলোরেক্টাল ক্যান্সারকে হারাতে সচেতনতা নেওয়া উচিত শুরুতেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী জানানো হয়েছে, কোলন (বৃহদন্ত্র) এবং রেক্টাম (মলদ্বার)-এ হওয়া এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকদিন ধরেই আমেরিকায় বিপজ্জনক হারে বেড়ে চলেছে। অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০০০ সাল থেকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন মার্চ মাসকে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সাম্প্রতিক এই বিপর্যয়ে গোটা বিশ্ব সেকথা ভুলেই বসেছে।

প্রতিবছর মার্চ মাস জুড়ে বেসরকারি উদ্যোগে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নিয়ে আলোচনা ও স্বাস্থ্যশিবির কম-বেশি হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে জানিয়েছেন, সাইলেন্ট কিলার হিসেবে চিহ্নিত এই ক্যান্সার সম্পর্কে শুরুতেই সচেতন হলে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব। প্রাশ্চাত্যের খাদ্যাভাস যত বেশি আমাদের মধ্যে চলে আসছে, ততই বেড়ে যাচ্ছে এই রোগের ঝুঁকি। অন্যদিকে, ক্যান্সার চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অত্যধিক পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া, অ্যালকোহল পান, ধূমপান করা, ওজন বৃদ্ধি, শরীরচর্চা না করা এই রোগের অন্যতম কারণ।

এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার দ্বিতীয় পর্যায়ে (স্টেজ-২) ধরা পড়লে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা হলে রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপনের মাধ্যমে দীর্ঘবছর বেঁচে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে মনোবল হারালে চলবে না। আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মলের সঙ্গে রক্ত বেরোলে, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কখনও কখনও ডায়েরিয়া হলে, মলের রং পরিবতন বা কালচে হলে, রক্তাল্পতা ও হজমের সমস্যা হলে সতর্ক হওয়া বিশেষ জরুরি।

Related posts

Leave a Comment