dust-allergyHealth Others 

ডাস্ট এলার্জির আঁতুরঘর কলকাতা

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ডাস্ট এলার্জি নিয়ে আমাদের সমস্যার শেষ নেই। আকছার ভুগতে হয় এই সমস্যায়। সবার আগে উঠে আসে ধুলোবালির বিষয়টি। সামান্য ধুলো নাকে গেলেই হাঁচি শুরু হয়ে যায়। আবার কারও কারও সর্দি লেগে যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ধুলোবালির জন্যই শুধু এই এলার্জি নয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি বিভাগের অধ্যাপক গৌতম কুমার সাহা ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী আসরে নেমেছেন। আসল কারণ খুঁজে দেখা গিয়েছে বিষয়টি ভিন্ন। এর পর পরীক্ষা করে ধরা পড়েছে ভিলেন আসলে এক প্রকারের মাকড়। যাকে মাইট বলা হয়। এক বিশেষ প্রজাতির মাইটই ডাস্ট এলার্জির জন্য দায়ী।অধ্যাপকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন,ওই মাকড়দের বৈশিষ্ট হলো এদের চার জোড়া পা থাকে। এই গবেষণাটি আন্তর্জাতিক জার্নালেও বের হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আরও বক্তব্য, এই ডাস্ট এলার্জি থেকে হাঁপানি ও একজিমার মত ব্যধি হতে পারে। ভারতের মতো দেশেও এই প্রবণতা বেড়েছে। শ্বাসনালীর সঙ্গে দূষিত বাতাস প্রবেশ করলেই শরীরের মধ্যে একটা অস্বস্তি বেড়ে যায়। এর ফলে হতে পারে কঠিন রোগও। এলার্জিপ্রবণ মানুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি হয়। তবে ধুলো গেলেই এরকম অবস্থা হয়, তা মানতে নারাজ অনেকে। এ নিয়ে অবশ্য তেমন গবেষণা হয়নি। জুলজি বিভাগের অধ্যাপকের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ধুলো বালির মধ্যে এক বিশেষ প্রজাতির মাইট বা মাকড় রয়েছে।ওই মাইটরা ডার্মাটোফাগইডস গোত্রের ।প্রসঙ্গত,কলকাতায় এলার্জি- এজমার আক্রান্ত রোগীদের একটা বড় অংশ রয়েছে।পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে,ওই ধুলো-মাইটসের কারণেই ওই রোগে ভুগছেন অনেকেই ।রাজ্যের ১৪টি জেলায় গবেষণা চালানোর পর ওই কীটের ৬৮ রকম প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। খোদ কলকাতার বুকেই মিলেছে ৪৭ রকম প্রজাতির মাইট।

Related posts

Leave a Comment