বাংলাদেশে ছাপানো জাল নতুন ৫০০ ও ২০০ টাকার অবাধ আমদানি রাজ্যে
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার ছক চলছে। বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় জাল নোট ছাপানোর নতুন কারখানা খুলেছে জেএমবি, এমন খবর জানা গিয়েছে। আরও খবর, নোট ছাপার কাগজ ও কালি আসছে পাকিস্তান থেকে। জাল নোট উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে। পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যেও। সম্প্রতি এই তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিদের কাছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, নব্য জেএমবি-কে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টাও চলছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিপুল সংখ্যায় ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়েছে। পাশাপাশি ধরা পড়েছে নোট পাচারে যুক্ত ব্যক্তিরাও। তদন্তের পর দেখা গিয়েছে, এদের বেশিরভাগই মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এমনকী ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোট ঢুকছে অবাধে। এই দুই অঙ্কের নোটের পাচার বেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন তদন্তকারী এজেন্সিগুলির। তদন্তের পর দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের যে সমস্ত জায়গায় ২০০০ টাকার জাল টাকা ছাপানো হত, সেগুলির বেশিরভাগই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই কৌশল বদলেছে বাংলাদেশের জাল নোট কারবারীরা। এই কারবারের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে নব্য জেএমবি-র হাতে। আরও জানা গিয়েছে, সীমান্তের ওপারে নব্য জেএমবি-র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর একটি বৈঠকও হয়। ওই বৈঠকে ৫০০ ও ২০০ টাকার নোট বেশি করে ছাপানো হবে বলে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সমস্ত সিকিউরিটি ফিচার্সও তারা নকল করতে পারেনি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আইএসআই মারফৎ নতুন প্রযুক্তি হাতে এসেছে তাদের। যার মাধ্যমে উন্নতমানের ৫০০ ও ২০০ টাকার নোটের সমস্ত সিকিউরিটি ফিচার্স তারা নকল করে ফেলেছে। সেই সঙ্গে কম পয়সায় জাল নোট ছাপার কাগজ-কালিও সংগ্রহ হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সাতক্ষীরায় একটি সিনেমা হলের কাছে জাল নোট ছাপানোর নতুন ইউনিট খুলেছে নব্য জেএমবি। ছাপার পর তা চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভোমরা ও কলারোয়াতে। ভোমরা থেকে বসিরহাট দিয়েই জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে এ রাজ্যে। কলারোয়া থেকে জাল নোট উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে আনা হচ্ছে। এমনকী কলারোয়া থেকে মুর্শিদাবাদেও আসছে ওই ধরনের জাল নোট। যা এখান থেকে সরাসরি চলে যাচ্ছে মালদহে। এই জাল নোটের গুণমান এতটাই ভাল যে, আসলের সঙ্গে ফারাক করা অত্যন্ত মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই তথ্য সামনে আসার পরই জাল নোট যে পথে আসছে, সেখানে নজরদারিও বেড়েছে।