করোনা সারিয়ে তুলছে ফ্যাভিপিরাভি
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : করোনা সারিয়ে তুলছে ফ্যাভিপিরাভি। ২০১৪ সালে জাপানের ফুজি ফিল্ম কোম্পানির অন্তর্গত টোয়ামা কেমিক্যাল কোম্পানি অ্যাভিগান নামের যে ওষুধটি সংক্রামক ভাইরাসজনিত অসুখের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই ওষুধের আপডেট ভার্সান চিনে করোনা আক্রান্তদের ওপর রান্ডমাইজড স্যাম্পেল হিসেবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলও সন্তোষজনক। জানা গিয়েছে, ৮১ জনের মধ্যে অধিকাংশই এক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে উঠছেন। উল্লেখ্য, এই ওষুধ এইচআইভি, ইবোলা ভাইরাস আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও এর আগে ব্যবহার করা হয়েছে। সাফল্যে চিন সরকার আশাবাদী। ন্যাশনাল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে অবিলম্বে এই আপডেটেড ভার্সান ওষুধের ক্ষেত্রে শীঘ্রই গণ-উৎপাদনে যেতে বলেছে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা অনেকেই মনে করছিলেন, সম্ভবত আমেরিকা বা চিন এই আবিষ্কারের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সমাধান বের হল ২০১৪ সালে জাপানে আবিষ্কৃত একটি অ্যান্টি-ভাইরাস ড্রাগ থেকেই। নাম ফ্যাভিপিরাভির। বৈজ্ঞানিক নাম ৭০৫টি। জাপানের হাতেই রয়েছে করোনা প্রতিরোধের ড্রাগ। চিন এটি ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই সাফল্য পেয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফ্যাভিপিরাভির নামে ড্রাগটি ২০১৪ সালে ফুজি-ফিল্ম সংস্থার অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক ও গবেষণার অন্যতম উইং “টোয়ামা কেমিক্যাল”-এর বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছিলেন। প্রথমবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ভাইরাস ড্রাগ। ইনফ্লুয়েঞ্জা, নাইল ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, ফুট অ্যান্ড মাউথ ভাইরাস ও সাম্প্রতিককালে জিকা ভাইরাস ও ইবোলার প্রতিষেধক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করেছে এই অ্যান্টিডোটটি। জলাতঙ্কেও জাপানে এটি বহুল ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এটি জাপানে এমাজেন্সি ড্রাগ হিসাবে চিহ্নিত হয়। এক্ষেত্রে চিনের দাবি, ইবোলা ভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে তাদের দেশে এই ড্রাগটি ব্যবহার করা হয়েছিল এবং ইতিবাচক ফলও মিলেছে। এটি কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।