বঙ্গের বাজারে মাছে-ভাতে বাঙালির জন্য দেশি রুই-কাতলা
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে অভাব মেটাচ্ছে দেশি রুই-কাতলা। লকডাউনে ভিন রাজ্য থেকে মাছের চালান বন্ধ। কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালির খাদ্য তালিকায় মাছের চাহিদা মেটাচ্ছে দেশি রুই-কাতলা। মৎস্য দপ্তর সূত্রের খবর, মাছে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে রাজ্যে বড় মাছের উৎপাদন সংগঠিতভাবে শুরু করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বড় মাছের চাষ শুরু হয়। দেশি মাছ খেয়ে ঘরবন্দি থাকার মধ্যেও এখন কিছুটা তৃপ্তি পাচ্ছে বাঙালি। অধিকাংশ বাঙালিরই রসনা যেন অতৃপ্ত থেকে যায় ভাতের পাতে এক টুকরো মাছ না পেলে। প্রসঙ্গত, মাছের পোনা উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ অনেক বছর ধরে দেশে এক নম্বরে রয়েছে। তবুও মাছের চাহিদা মেটাতে বাংলাকে এখনও ভিন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও গুজরাট থেকে মাছ না এলে সমস্যা বাড়ে এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের। সূত্রের খবর, কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে যেসব বড় রুই-কাতলা, ভেটকি, ভোলা, ইলিশ, পাবদা, পাঙ্গাস, আড় এবং বোয়াল বিক্রি হয়, তার একটা বড় অংশের জোগানো দিয়ে থাকে দক্ষিণ ভারত। ভিন রাজ্য থেকে এখানে মাছ আসা বন্ধ। তার জেরে বাজারে মাছের অভাব। সেই ঘাটতি মেটাচ্ছে বাংলার রুই-কাতলা। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন, লকডাউনেও রাজ্যের মানুষ যে মাছ খেতে পারছেন, সেই জন্য বিশেষ অবদান মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর নির্দেশেই মৎস্য দপ্তর বছর দুয়েক আগে এই রাজ্যের চাষিদের দিয়ে সংগঠিতভাবে বড় মাছ উৎপাদন শুরু করে। ময়না মডেলের ধাঁচে বিভিন্ন জেলায় ৫ হেক্টর বা তার বেশি আয়তনের পুকুরে সমবায় ভিত্তিতে মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতেই দেশি বা বড় মাছ উৎপাদনে সাফল্যের মুখ দেখছে মৎস্য দপ্তর।