Hands WashEnviornment Health Others 

পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা এখন ঠেকে শিখছেন অনেকে

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : জনস্বাস্থ্যে বিশ্ব-সঙ্কট। ভারত-সহ আমাদের রাজ্যও জনস্বাস্থ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা এখন ঠেকে শিখছেন অনেক মানুষ, এমনটা বলাই চলে। শিখিয়ে, পড়িয়ে ও বিজ্ঞাপনী প্রচারেও অভ্যাস তৈরি করা যায়নি। এখন প্রাণের তাগিদে অনুশীলন করতে হচ্ছে। মেনে চলার চেষ্টাও করছেন “কমিউনিটি হাইজিনের” বিধি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানুষ নিজেকে সব থেকে বেশি ভালবাসে। তাই প্রতিদিন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে বিশ্বজোড়া মৃত্যু-মিছিলের খবরে সবাই রয়েছেন উদ্বেগে। মৃত্যুভয় পাচ্ছেন। তবে এই শিক্ষাটা প্রয়োজনীয়। মৃত্যুভয় থেকে অর্জিত এই শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী হবে। আবার মডেল-চিকিৎসক গৃহস্থের রান্নাঘরে আরশোলা খুঁজে বের করেন সচেতনতার পাঠ দিতে হবে। অন্যদিকে নখ না কেটে স্কুলে এলে দিদিমণির ফোন যায় মন্টেসরির শিশুর মায়ের কাছে। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানিয়েছেন, বেসিক হাইজিন বোধটা আধুনিক সময়েই এসেছে। বাড়িতে আচার-নিয়ম শেখালেও আমাদের ছেলেবেলায় সংক্রামক ব্যাধি অনেক বেশি হত। জল নিয়েও তখন এত চেতনা ছিল না। গ্রামকে গ্রাম উজাড় হত কলেরায়। ছেলেবেলায় সাবানও মাখতাম কালেভদ্রে। তবে এত আধুনিক সময়েও সেন্স অফ হাইজিনের তোয়াক্কা করেন না অনেকেই। মাইক্রোবায়োলজিস্ট অরিন্দম চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমরা এখন যা ঠেকে শিখছি, এগুলিই স্কুলপাঠ্যে বেশি করে ঠাঁই পাওয়া উচিত। পার্সোনাল হাইজিন, ফুড সেফটি, ওয়াটার সেফটির কথা ছোটবেলা থেকে শেখালে সু-অভ্যাস গড়ে উঠবে। শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাক্টিরিয়া, প্রোটোজোয়া থেকেও সারা বছর হাজারও সংক্রমণ লেগে থাকে। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নাগরিকদের সু-অভ্যাস গড়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত দপ্তরও হাত ধোয়ার প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।

Related posts

Leave a Comment