হৃৎরোগে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ও সাবধানতা
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : হৃৎরোগে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ও সাবধান হওয়ার কিছু কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বর্তমান সময়ে হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতা বাড়ছে। বড় আকার ধারণ করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিশেষ অসুস্থতা ছাড়া সামগ্রিক হৃদযন্ত্রের সাধারণ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেলে তার চিকিৎসা করে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ সবল রাখা সম্ভব। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, বয়স্ক মানুষের প্যালপিটেশন যদি স্পাইনাল ইরিটেশন বা মস্তিষ্কের ইরিটেশন থেকে হয় সেক্ষেত্রে “এগারিকাস” ৩০ অথবা ২০০ প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষীণ রক্ত সঞ্চালনযুক্ত বয়স্কদের জন্য ৩০ শক্তির ওষুধ প্রতিদিন ৩ বার অবস্থা বিচার করে ২ বার খাওয়া যায়। প্রয়োজনে ২০০ শক্তির ওষুধ দিতে হবে। ডিসপেপশিয়া রোগী প্যালপিটেশনে ভুগলে এবং প্যালপিটেশন বা পাশ হয়ে শুলে কম হতে থাকলে সেক্ষেত্রে “এঙ্গাস্টুরা ভেরা”- ৩০ শক্তি বা ২০০ শক্তির ওষুধ খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি বয়স্ক মানুষদের হৃৎপিণ্ড রোগে প্যালপিটেশন-সহ বুকে ব্যথা বা চাপ বোধ অনুভূত হলে “য়্যাসপেরেগাস” ৩০ কার্যকরী হওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, রোগী দমবন্ধ অবস্থার কথা জানালে এবং নাড়ি অনিয়মিত চলছে, প্রতি ৩-৪ বা স্পন্দনের পর ইন্টারসিসেন্ট হচ্ছে। আবার শোথ, চক্ষুর নিম্নে থলির ন্যায় স্ফীত হয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে “এপিস মেল” ৩০ সেবন করালে ভাল ফল পাওয়া যায়। প্যালপিটেশন স্থির হয়ে বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলে বেশি বোঝা যায়। নড়াচড়া করলে প্যালপিটেশন কম হয়, সেক্ষেত্রে “ম্যাগনেসিয়া মিউর” ৩০ দেওয়া হয়। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের প্যালপিটেশন রোগীর মুখমণ্ডলে প্রকাশ পেলে “মিউরিয়াটিক অ্যাসিড” ৩০ বা ২০০ ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়। হৃৎপিণ্ডের নিউরেলজয়াতে অ্যারজেনটাম মোট ৩০ বা ২০০ ব্যবহার সুফল পাওয়া গিয়েছে। “আরনিকা মণ্ট ২০০” হৃৎপিণ্ডের অধিক শ্রম এবং হৃৎপিণ্ডের চারিদিকে বেশি মেদ জমলে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই সব ওষুধগুলির ক্ষেত্রে সঠিক প্রয়োগ অনেক সময় উপকার করে। আবার কিছু সাবধানতা রোগ মুক্তিতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃৎরোগীদের ক্রোধ ত্যাগ করতে হবে। বেশি সময় দমবন্ধ রাখার কোন কাজ করা অনুচিত। এছাড়া দমবন্ধ করে কোনও ভারী বস্তু উত্তোলন করাটা বিপদজনক। বীর্যক্ষয়ও রোগীর পক্ষে বিপদের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করাও নিষেধ। দৌড়ানো, দ্রুত হাঁটা, সাঁতার কাটা ও রোদে ঘোরা এই রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। এমনকী উপবাস ও অধিক রাত জাগা ক্ষতিকর হতে পারে। বিভিন্ন গরমমশলা, মদ, তামাক, কফি ও বেশি চা ক্ষতিকর হয়। অধিক আহার নিষেধ। আবার অল্প আহার করে অতিরিক্ত জল পান ক্ষতিকর হতে পারে। এই সব রোগীর ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চললে ও উপযুক্ত পথ্য খেলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।