ফের বিশ্বে শিরোনামে যাদবপুর
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : পড়াশুনার পাশাপাশি অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরি করে নজির গড়লেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী।আমেরিকার একটি সংস্থার পক্ষ থেকে গোটা বিশ্বে ৯ জনকে ড্রোন তৈরির জন্য ডেকে নেওয়া হয়।তার মধ্য জায়গা হল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ছাত্রী অন্বেষা বন্দোপাধ্যায়ের।৯জনের মধ্যে তিনিই একমাত্র এই বিশ্ববিয়ালয়ের পড়ুয়া।এক্ষেত্রে তাঁর দাবি- যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুর্গম এলাকায় আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে এই ড্রোন।শব্দ রেকর্ড করে কোথায় কে আটকে রয়েছে,তা জানিয়ে দিতে পারবে এই যন্ত্র।পড়ুয়ার কীর্তিতে সন্তোষপ্রকাশ করলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। উল্লেখ্য,অক্টোবর মাসে এই ৯জন কে চূড়ান্ত করা হয়। ভারত থেকে যাদবপুরের এই পড়ুয়া রয়েছেন।জানা গিয়েছে, একটি ড্রোন সংস্থার প্রধান প্রত্যেক প্রতিযোগীকে সাড়ে ১০লক্ষ টাকা করে দিয়েছে।এক্ষেত্রে তাঁদের বলা হয়- চার মাসের মধ্যে প্রার্থীদের নিজস্ব ভাবনাকে কার্যকর করে একটি জোট তৈরি করতে হবে,যা সমাজে কাজে আসবে। অন্বেষাকে সাহায্য করার জন্য একটি দল তৈরি হয়।ওই দলে তাঁর বিভাগের অধ্যাপক পি বেঙ্কটেশ্বরন,একটি বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং অন্বেষার এক বন্ধু রয়েছেন। আগামী ২৫ফেব্রুয়ারী এই ৯জনের তৈরী যন্ত্র উপস্থাপন করতে হবে। জানা যায়, ২৩ ফেব্রুয়ারী কেনিয়ায় যাবেন অন্বেষা এবং তাঁর বন্ধু।কিভাবে কাজ করবে এই ড্রোন, সে প্রসঙ্গে অন্বেষা জানিয়েছেন,ক্যামেরাযুক্ত এই ড্রোন বিভিন্ন জায়গায় উড়ে ছবি তুলতে পারবে।এতে অডিও সিগন্যাল প্রসেসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ঘন কুয়াশা কিংবা ধোঁয়ার জন্য ক্যামেরায় ছবি তোলা সম্ভব হয় না। কোনও দুর্ঘটনা বা বিপর্যয়ের সময় কেউ আটকে পড়লে এই ড্রোন কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে। অন্বেষা আরও জানিয়েছেন,এই ড্রোনের মধ্যে সাধারণ মানুষের শব্দ রেকর্ড করার ক্ষমতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন জায়গার মানুষ আটকে রয়েছে,তা ঠিক করে দিতে পারবে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে । পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা গিয়েছে বাঁকুড়ার একটি জঙ্গলে কয়েকজন মানুষকে রেখে দেওয়া হয়েছিল,ড্রোন সঠিক স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছে। এই ড্রোন দিয়ে সরকার যদি কোনও সাহায্য চায় তিনি তা করতে রাজি।