নিয়মে বাঁধা রুটিনের ছেদ পড়েছে ঘোড়াদেরও
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে ঘোড়াদের সুস্থ রাখতে স্যালাইন দিচ্ছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ঘোড়সওয়ার বাহিনী এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগে। সূত্রের খবর, এই সময় ঘোড়াগুলিকে ময়দানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। শারীরিক কসরতের জন্য ভরসা একমাত্র ধর্মতলায় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন প্যাডক। নিয়ম মেনে সেখানেও অবাধে যাওয়া-আসা করাও যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ঘোড়াকে আস্তাবলেই রাখতে হচ্ছে। পুলিশের ঘোড়সওয়ার বাহিনী সূত্রে খবর, কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের আস্তাবলে ৪৬টি ঘোড়া রয়েছে। পুলিশকর্মীরা ওইসব ঘোড়াদের শরীরচর্চার জন্য ময়দানে নিয়ে যেতেন।
নিয়মে বাঁধা রুটিনের ছেদ পড়েছে ওদেরও। অভ্যাসে বদলও এসেছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের পশু চিকিৎসক সুরজিৎ বসু জানিয়েছেন, ঘোড়াদের সুস্থ রাখতে তাদের সচল ও সক্রিয় রাখাটা জরুরি। এইসময় বেশিরভাগ সময়ে ওরা আস্তাবলে থাকায় আমাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত শরীরচর্চা না করালে পায়ের অসুখ থেকে পেটব্যথা সহ নানাধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণে এখন ২৪ ঘন্টায় ওদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় ওদের সুস্থ রাখতে আস্তাবলে রেখে স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে। আবার মাউন্টেড পুলিশের ওসি অভ্র চট্ট্যোপাধ্যায় জানান, ঘোড়াদের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ওষুধও আসছে না। সমস্যা বেড়েছে।