জনতার কার্ফু কী এবং কেন
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ জনতার কার্ফু কোনও সামরিক বা আধাসামরিক বাহিনীর ঘোষণা করা পরিচিত কার্ফু নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত এই কার্ফু আসলে জনগণকে সচেতন করার একটি গুরুত্বপূর্ন বৈজ্ঞনিক পদক্ষেপ।
করোনা ভাইরাস একমাত্র মানুষকেই আক্রমণ করে। মানব শরীর ছাড়া অন্য কোনও প্রাণীর দেহে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, করোনা ভাইরাস বারো ঘণ্টার বেশি বাঁচতে পারে না। ১৪ ঘন্টা কার্ফুর ফলে মানুষ বাড়ি থেকে না বেরোলে এই ভাইরাস মানুষের সংস্পর্শে আসতে পারবে না। এবং এই একদিন ভাইরাস সক্রমণের চেনটা ভেঙে দেওয়া যাবে। এবার প্রশ্ন হল, কার্ফূযের জন্য রবিবার ছুটির দিন কেন বাছা হল। এর কারণ, ছুটির দিন সাধারণত বেশি মানুষ বাইরে একত্রিত হন। মনে রাখতে হবে ভারতে প্রায় ১২৫কোটি মানুষের বাস। তার চার ভাগের এক ভাগ সংক্রামিত হলে সেই সংখ্যাটা ৩০কোটিরও বেশি। সেই চাপ সামলানোর মতো পরিকাঠামো ভারতে কেন বিশ্বের কোথাও নেই। ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ১০শতাংশের যদি আই টি ইউ বা ভেন্টিলেটর লাগে তবে সেই সংখ্যাটাও ৩ কোটি। পুরো ব্যাবস্থাটাই ভেঙ্গে পড়বে বিপুল চাপে। আগামী কাল জনতা কার্ফূযের মাধ্যমে আমরা যদি ভাইরাস সংক্রমণের চেনটা ভেঙে দিতে পারি তাহলে আমরা ভারতবাসীরা করোনার হাত থেকে বাঁচার দিশা পাব।