নেট-মুদ্রায় লেনদেনে সম্পতি, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল কারেন্সি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, তাদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্ক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত কোনও পরিষেবা দিতে পারবে না। এক্ষেত্রে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টেও জমা নয়। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের ৩ সদস্য বিশিষ্ট বেঞ্চ। এরফলে কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাইলে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের পরিষেবা দিতে পারবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নেট মুদ্রার কারবারিরা। প্রসঙ্গত, ভার্চুয়াল কারেন্সি আনার কথা ঘোষণা করেছে ফেসবুক। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রিল্যায়েন্স জিয়ো এই মুদ্রা চালুর পরিকল্পনা করেছে। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশকে যারা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, সেই ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আইএমএআই) আদালতে যুক্তি দিয়ে জানিয়েছে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক এক্ষেত্রে নীতিগত জায়গা থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অর্থনীতির উপর ক্রিপ্টোকারেন্সির কোনও বিরূপ প্রভাব রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়নি। অন্যদিকে, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চও ১৮০ পৃষ্ঠার রায়ে জানিয়েছেন, বিভিন্ন কমিটি একাধিক প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এক্ষেত্রে দুটি খসড়া বিল পেশ হলেও তা ছিল পরম্পর-বিরোধী। এমত অবস্থায় শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকায় “ভারসাম্যের অভাব” রয়েছে বলে মনে করছে সুপ্রিমকোর্ট। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আমানতকারীদের সতর্ক করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ৫ বছর পর নিষেধাজ্ঞা। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ জানিয়েছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ধোঁয়াশা এখনও অটুট। আমানতকারীরা সমস্যায় পড়লে কোথায় যাবেন, সে প্রশ্ন এখনও রয়েছে।