ন্যায়বিচার চাইছেন সোহিনী ও নন্দিনী
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : “আমি অনেকদিন ঘুমোইনি। বাবার কথাগুলি আমার বার-বার মনে পড়ে। জিজ্ঞেস করত, কবে হাসপাতাল থেকে আমি বের করে নিয়ে আসব। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বলেছিলাম, পরদিন বের করে নিয়ে আসব ওখান থেকে। সেদিনই গভীর রাতে ফোন করে জানানো হয়, বাবা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে না।” বলছেন সোহিনী। নায়ক তাপস পালের কন্যা। যে নায়কের মৃত্যুশোক এখনও ভুলতে পারেনি বাংলা। তাপসের চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল, এমনটাই দাবি তাঁর স্ত্রী-কন্যার। মুম্বই শহর থেকে ফোনে সোহিনীর গলায় ক্ষোভ, যন্ত্রণা একাকার, “আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ চলে গিয়েছে। আর হারাবার কিছু নেই। আমি আর মা হাসপাতালের কাছে গিয়ে কিছু রিপোর্ট চেয়েছি। যেগুলি এখনও আমাদের দেওয়া হয়নি। বাবার চিকিৎসায় অনেক গাফিলতি হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।” যেদিন তাপস পাল হাসপাতালে ভর্তি হন, সেদিন আমেরিকা যান সোহিনী। সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, বাবা ভেন্টিলেশনে। পরের ফ্লাইটে মুম্বই ফেরেন তিনি। সোহিনী বলছিলেন, মুম্বই ফিরে দেখি বাবা ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়েছে। হাসছিল, কথা বলছিল, মজা করছিল। বাবা ফাইটার ছিল। অনেকে মনে করছেন, বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেটা আমার মনে হয়নি কখনও। ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসার পরও বাবাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়, তখন চিকিৎসার অনেক ক্রটি ছিল। একদিন বাবার খিদে পেয়েছিল। আমাকে বলা হয়, আপনি ক্যান্টিন থেকে কফি বা কিছু খাবার নিয়ে আসুন। তখন ওদের খাবার দেওয়ার সময় ছিল না।” তাপসের স্ত্রী নন্দিনীর গলাতেও ঝরে পড়ে ক্ষোভ।