করোনা মোকাবিলায় গুচ্ছ প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে আজ জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আজ সেখান থেকেই সরাসরি ঘোষণা করলেন, চাপ কমাতে শয্যা বাড়ছে বেলেঘাটা আইডি, এমআর বাঙ্গুর এবং আরজিকর হাসপাতালে। তিনি আরও বলেন, গুজব ছড়াচ্ছে যে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অমিল। এরকম গুজব ছড়ালে পুলিশকে সাথে সাথে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের সব দোকান, বাজার খোলা থাকবে।
এদিন তিনি জানান:-
রোগকে কোনোভাবেই ভয় পাওয়া যাবে না বরং প্রতিরোধ করতে হবে। প্রিভেনশন ইস বেটার দ্যান কিওর। আপনাদের প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে। গভর্নমেন্ট এবং প্রাইভেট সেক্টর একজোটে কাজ করব। আইসিএমআর শিগগিরই গাইডলাইন্স দেবে। সঙ্গে সঙ্গে আপনারাও প্রস্তুত থাকবেন।
রাজারহাটে ক্যান্সার হাসপাতাল ও এনবিসিসি বিল্ডিং রেডি করা আছে। কেবলমাত্র বেলেঘাটা আইডি-র ওপর ভীষণ চাপ পড়ছে।
সরকার থেকে সবসময় অ্যাম্বুল্যান্স রেডি রাখব। তার সঙ্গে সঙ্গে বেলেঘাটা আইডি থেকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করব, যাতে রোগী বেশি হলেও অসহিষ্ণুতার কোনো কারণ না থাকে।
এখন কোনওরকম ঝগড়া করার বা ব্যবসা করার সময় নয়।
বেলেঘাটা আইডি-তে এখনও পর্যন্ত ২২টি বেড আছে । আরও ১০০টি যোগ করার চেষ্টা করছি। বাঙুর হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ে ১৫০ বেড করে দিচ্ছি। আর জি কর হাসপাতালে নাইট শেল্টার করেছেন। এবার কনভার্ট করে ৫০ বেড করে দিন। ক্যান্সার হাসপাতালে মোট ৫০০ বেড ধরবে।
নার্সদের সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ বিশেষ পোশাকের বরাত দেওয়া হয়েছে।
বেলেঘাটা আইডি-র আশেপাশে প্রাইভেট হাসপাতাল বা নার্সিংহোম দেখছি।
যাদের ছেলেমেয়েরা সদ্য বিদেশ থেকে ফিরেছে, সরকারের ব্যবস্থায় তাদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
৩০০ ভেন্টিলেশন মেশিন অর্ডার দিয়েছি, যার মধ্যে ৭০ টি অলরেডি ডেলিভার্ড হয়েছে। আগামী ২০ দিনে সবটা এসে যাবে। প্রাইভেট হাসপাতালদের বলছি, কেউ স্পনসর করতে চাইলে তাঁর সাথে কথা বলুন।
ফুসফুসে সমস্যা হচ্ছে বেশ তাই ১০টি ইসিএমও মেশিন অর্ডার দিয়েছি। এই মেশিনটা ফুসফুস ক্লিয়ার করে। এটা রাখতে পারলে ভাল।
২ লক্ষ মাস্ক, ৩০ হাজার গ্লাভস, ১০ হাজার থার্মাল গ্লাভসও অর্ডার দিয়েছি। যে সমস্ত চিকিৎসকরা কাজ করেন, তাঁদের জন্য মেডিকেটেড ড্রেস অর্ডার দিয়েছি। প্রাইভেটেও এই ব্যবস্থা রাখা অত্যন্ত দরকার।
অনেক সময় ডিপার্টমেন্টাল হেডরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরেন অথচ মাস্ক পরেন না। তাঁরা যাতে ভাল থাকেন, সেটা অবশ্যই দেখতে হবে। আপনারা আক্রান্ত হলে অন্যের হেল্প করবেন কী করে? আমরা হাসপাতালে গেলে আমাদেরও এটা ব্যবহার করতে হবে।
আতঙ্ক বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। আগামী তিন সপ্তাহ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে এখন সেকেন্ড উইক চলছে। আমাদের ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিতে হবে।
বাচ্চাদের স্কুলে আসতে হবে না। চাল-আলুর প্যাকেট বাড়িতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেব। বাড়ির লোকেরাই খাওয়াবে। যাতে খাওয়ার ঘাটতি না হয়। আশার মেয়েদের বলছি, মানুষকে সতর্ক করার জন্য। স্বনির্ভর গোষ্ঠীও খুব ভাল কাজ করে। আইসিডিএসে ৬০ লক্ষ বাচ্চা প্রতিদিন খাবার পায়। আমরা চাই না এদের কোনো ক্ষতি হোক। আমরা অনেক সাহায্য পাইনি। বুলবুলেও সাহায্য পাইনি।
প্রত্যেকটি জেলা থেকে স্টেট হেল্পলাইন কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কিট পাচ্ছি না। আমরা কিট পাঠাতে অনুরোধ করব। আমরা চাইব, তাড়াতাড়ি তার অনুমতি দেওয়া হোক। কেন্দ্র থেকে এখনই কিট পাঠানো উচিত। ধীরে ধীরে সময় চলে যাচ্ছে।