দুর্গাপুরে বিজেপি নেতাকে মারধর, গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের ইস্পাত কলোনির পার্কে হামলা। বিজেপি নেতাকে মারধর, চলল গুলি। অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে দুর্গাপুরের ইস্পাত কলোনির কুমারমঙ্গলম পার্কে ব্যাপক হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, ওই পার্কটি বিজেপি নেতা দেবাশীষ রায় লিজ নিয়েছিলেন। তাঁকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এমনকি চলে তিন রাউন্ড গুলিও। পার্কের ভেতর অবস্থিত দেবাশীষবাবুর একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এছাড়াও রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা সিসিটিভি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পোঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স।

উল্লেখ্য, পার্কের ভিতর একটি অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, দূর্গাপুর ইস্পাতের এই পার্কটি লিজ নেওয়া রয়েছে এক্সল্ট সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি সংস্থার। আইনি লড়াই চলছে সংস্থার সঙ্গে ইস্পাত কর্তৃপক্ষের। বিজেপির কর্মী বলে পরিচিত দেবাশীষ রায় এক্সল্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্নধার।
ডলফিন নামের একটি সংস্থা ওই পার্কের ভেতর একটি স্ন্যাক্স কাউন্টার চালায়। আগামীকাল ২৩শে ফেব্রুয়ারি ডলফিন সংস্থা একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, শান্তিরাম মাহাতো, তৃণমূল জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি-সহ একাধিক শীর্ষ স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা। এই মুহুর্তে দূর্গাপুর ইস্পাতের সঙ্গে এক্সল্ট সার্ভিসের আইনি লড়াই চলার কারণে এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি এক্সল্ট। থানায় আগাম জানানো ছিল বলে দাবি করেছেন দেবাশীষবাবু।
অনুমতি না দেওয়ায় আজ সকালে এই হামলা। ঘটনায় ৩ থেকে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই পার্কের এক কর্মী অতুল বাগদী বলেন, স্থানীয় শেখর নামের এক তৃণমূল কর্মী তিন রাউন্ড গুলি চালায় ও প্রায় ১০০ ছেলে এসে মারধর, ভাঙচুর চালায়। ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের নেতৃত্বেই এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেবাশীষবাবু।
অন্যদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের বক্তব্য, এই পার্কের লিজ অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে বাঁধা দিয়ে তিনি ভুল করেছেন। এই পার্কে বহু অসামাজিক কাজকর্ম হয়। তাই এদিন এলাকাবাসীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই জানিয়েছেন, পুলিশের সামনেই ভাঙচুর মারধরের ঘটনা ঘটে।