E-RikyuisionHealth Others 

রক্ত পরিষেবায় দালালরাজ রুখতে এবার রাজ্যজুড়ে ই-রিক্যুইজিশন ব্যবস্থা

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : রক্ত পরিষেবায় এবার দালালরাজ ভেঙে স্বচ্ছতা আনতে ই-রিক্যুইজিশন ব্যবস্থা। অভিযোগ, যতই স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা হোক না কেন, রক্ত পরিষেবা মানেই দালালদের রমরমা বাজার। দালালরাজ ভাঙতে “ই-রিক্যুইজিশন” ব্যবস্থা চালু হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। ই-রিক্যুইজিশন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থা চালু হলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনকে রক্তের চাহিদা ব্লাড ব্যাঙ্ককে বোঝাতে রিক্যুইজিশন স্লিপ পাওয়ার জন্য হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হবে না। এমনকী কোন গ্রুপের কত ইউনিট রক্ত লাগবে, তা ওয়ার্ড থেকে সরাসরি চলে যাবে নিকটবর্তী সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে। রোগীর বাড়ির মানুষজন শুধু রক্তের নমুনার সঙ্গে নিয়ে সেই ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে ক্রশ ম্যাচ করে রক্ত সংগ্রহ করবেন। রক্ত পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্তা-ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ওয়ার্ড থেকে সরাসরি রক্তের চাহিদা অনলাইনের মাধ্যমে ব্লাড ব্যাঙ্কে চলে গেলে হয়রানি কমবে। বাড়ির লোকজনকে হতাশ হয়ে পড়ে থাকতে হবে না। আবার, সরকারি রিক্যুইজিশন স্লিপ অনেক সময়ই ভুলে ভরা থাকে। রোগীর নাম, গ্রুপ ভুল ও ডাক্তারদের সরকারি সিলের ছাপ ভাল পড়েনি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকে। এসব হয়রানি ভোগ করতে হয় বাড়ির লোকজনকেই। অনেক ক্ষেত্রে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন স্লিপ নিয়ে আসুন। না হলে রক্ত দেওয়া যাবে না। এছাড়া, কাগজের স্লিপ ব্যবস্থা চালু থাকায় অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী রক্ত পেতে ঘুরপথে একটির বদলে দুটি রিক্যুইজিশন স্লিপ বের করে আনেন। সেই দুটি স্লিপ দিয়ে একাধিক সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত জোগাড় করে থাকেন। এতে রক্ত নষ্ট হয় বলেও অভিযোগ। কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে, একবার ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রোগীর হাতে রক্ত চলে গেলে তা ফেরৎ হয় না। আবার, কাগজের রিক্যুইজিশন স্লিপ নিয়ে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে এবং চাহিদা মতো রক্ত না পেলে দালাল-চক্রের অভাব হয় না। অভিযোগ, পেশাদার রক্তদাতাদের নিয়ে এসে রক্তদান করিয়ে রক্ত জোগাড় করার ব্যবস্থা করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

Related posts

Leave a Comment