অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভূ-গর্ভস্থ জল উত্তোলনই বিপদের কারণ
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পৃথিবীর মোট জল-ভাণ্ডারের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ জল ১.০৫ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এখনও অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার হয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্য রাজ্যগুলি ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। তা এখনও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, গ্রামীণ এলাকায় পানীয়, রান্না এবং গৃহস্থালির কাজের ক্ষেত্রে জলের প্রধান উৎসই হল ভূ-গর্ভস্থ জল। পাশাপাশি কৃষিকার্যের জন্য ব্যবহৃত জলের প্রধান উৎসই ভূ-গর্ভস্থ জল। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে গরমকাল এলেই। কৃষি কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ধান চাষের জন্য প্রচুর জল প্রয়োজন হয়। এর সবটাই ভূ-গর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ২০ ফুটের এক পাইপের একটি টিউবওয়েল বসিয়ে প্রতিদিন প্রচুর জল তুলে নেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকে চাষের জন্য প্রচুর ভূ-গর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হয়। জানা গিয়েছে, নগরায়ণ ও শিল্পায়নের জন্য জলের বেশিরভাগ অংশটাও ভূ-গর্ভস্থ জল-ভাণ্ডার থেকে আসে। এরফলে, ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর মারাত্মকভাবে নেমে গিয়েছে। আবার মাত্রাহীন জল উত্তোলনের ফলে আর্সেনিক বা ফ্লোরাইডের মতো ক্ষতিকারক পদার্থ খনিজ থেকে বেরিয়ে ভূ-গর্ভস্থ জলে মিশে যাচ্ছে প্রতিদিন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের অন্যান্য প্রদেশে ভূ-গর্ভস্থ জলে যে আর্সেনিক বা ফ্লোরাইডের উপস্থিতি, তার পিছনে এই অবৈজ্ঞানিক জল উত্তোলনের ভূমিকাই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি কৃষিকার্যে অতিরিক্ত ভূ-গর্ভস্থ জল ব্যবহার করার জন্য মারাত্মক রকমের আর্সেনিক বা ফ্লোরাইডের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।