Human BodyHealth Others 

মানবদেহের বৃদ্ধি- গঠন ও ক্ষয়পূরণে প্রোটিন প্রয়োজনীয়

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রোটিন হল অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। প্রোটিন অণু আমাদের দেহের বৃদ্ধি, গঠন ও ক্ষয়পূরণের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রোটিনের কাজ মূলত কোষ গঠন, পেশির গঠন ও মস্তিষ্কের গঠনে ভূমিকা নেওয়া। পাশাপাশি খাদ্য হজমে সহায়কতা করা। আবার বিভিন্ন এনজাইম তৈরিতেও প্রোটিন প্রয়োজন। দেহের কোথাও কেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে, ওই ক্ষত পূরণের ভার সম্পূর্ণভাবে থাকে প্রোটিনের উপর। মায়ের গর্ভে থাকা একটি কোষ থেকেই বারবার বিভাজন ঘটে পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ মানবশিশু তৈরি হয়। এই কোষ বিভাজন সম্ভব হয় প্রোটিনের জন্যই।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, শরীরের বিভিন্ন ধরনের গ্রোথ হর্মোন, থাইরয়েড, থাইরক্সিন ও ইনসুলিন তৈরি নির্ভর করে শরীরে উপযুক্ত পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতির উপর। মানবদেহের পেশিগুলির সঙ্কোচন এবং প্রসারণের জন্য দায়ী থাকে অ্যাকটিন, মায়োসিন নামে প্রোটিন। পাশাপাশি লোহিত রক্ত কণিকার প্রধান উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরিই হয়েছে প্রোটিনের সাহায্যে। সেই প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে, মানবদেহে সঠিক পরিমাণে রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি না হলে সারা দেহে অক্সিজেন পৌঁছবে না। আবার শরীরের রোগ-প্রতিরোধী ক্ষমতার জন্য যে অ্যান্টিবডির প্রয়োজন হয়, সেই অ্যান্টিবডিও তৈরি হয় প্রোটিনের সাহায্যে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, চুল তৈরি হয় কেরাটিন প্রোটিনের সাহায্যে এবং হাড়ের গঠনের জন্য রয়েছে কোলাজেন প্রোটিন। রক্তের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বিভিন্ন প্রোটিন। প্রোটিনের নানাবিধ কাজ রয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রোটিন অণু কতকগুলি অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমাহারে গঠিত। অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয় কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন-এর মতো মৌলিক পদার্থ দ্বারা। আবার অ্যামাইনো অ্যাসিড দুই প্রকারের হয়। যেমন– (১) এসেনশিয়াল (অতি-প্রয়োজনীয়) অ্যামাইনো অ্যাসিড। আরজিনিন, হিস্টিডাইন, আইসোলিউসিন, লিউসিন, লাইসিন, মেথিয়োনিন, প্রোলিন, থেরোনিন, ভ্যালিন এবং ট্রিপটোফ্যান হল এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের উদাহরণ।
(২) নন-এসেনশিয়াল (অতি-প্রয়োজনীয় নয়) অ্যামাইনো অ্যাসিড।

Related posts

Leave a Comment