৬২ শতাংশ সংক্রমণ কমবে লকডাউনে: আইসিএমআর
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত যা খবর তাতে দেখা যাচ্ছে, কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ বাংলায়। লকডাউনের সুফল মিলছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই লাগাতার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ ছাড়াও পথেও নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্নমহলের প্রশ্ন, কতটা লাভ হবে ২১ দিন গৃহবন্দি থেকে। কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-(আইসিএমআর)-এর করা একটি তথ্য নতুন আশা জাগাচ্ছে দেশের মানুষকে। পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে গবেষকরা জানিয়েছেন, লকডাউন মানলে দেশে সার্বিকভাবে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বা কোভিড-১৯ কমবে ৬২%। সংক্রমণ ছড়ানোর গতিও মন্থর হয়ে যাবে। তা পৌঁছবে ৮৯ শতাংশে। প্রসঙ্গত, এই গবেষণাপত্রটি ২৪ মার্চ মঙ্গলবার প্রকাশ পেয়েছে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইজেএমআর)-এ।
“আমার বাংলা”র পক্ষ থেকে আমরা জানিয়েছিলাম করোনা সংক্রান্ত খবরা-খবর প্রতিনিয়ত জানাতে থাকব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তুলে ধরছি বেশি কিছু তথ্য। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭১৯, সুস্থ ৪৫, অসুস্থ ৬৬১, মৃত্যু ১৩। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতে সংখ্যাটা এখনও বেশি বাড়েনি, তার অন্যতম কারণ হল গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু না হওয়া।
আবার অন্য একটি সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা না হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এক্ষেত্রে আরও বক্তব্য, প্রথম কাজটি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে ভারত। লকডাউনের মাধ্যমে ৩ সপ্তাহ ব্যাপক হারে কোয়ারেন্টিন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আবার, নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে।
রাজ্য স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে নাইসেড ছাড়া আরও কোথাও পরীক্ষা হত না। এরপর ধাপে ধাপে এসএসকেএম, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পরিকাঠামো চালু করার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আইসিএমআর। এই সংখ্যা ৫ থেকে বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লকডাউন সফল করাটাই আমাদের কাছে এখন প্রাথমিক লক্ষ্য। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটিই। ভাইরাস আপন মর্জি মতো প্রকোপ যাতে বাড়িয়ে যেতে না পারে তাই লাগাতার প্রচেষ্টা জারি থাকবে।