RhynocerosEnviornment Others 

জলদাপাড়ায় একের পর এক গন্ডারের মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় পরপর ২টি গন্ডারের মৃত্যুতে দিশেহারা বনদফতর। দুটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে ও ১টি গণ্ডার অসুস্থ হয়েছে । এই অবস্থায় গন্ডারের আবাসভূমি জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ছড়িয়ে গেছে অ্যানথ্রাক্সের আতঙ্ক।ফলে দেশের জাতীয় এই উদ্যান থেকে গন্ডার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে বনদফতরের কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বনদফতর বিষয়টিকে অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণ মানতে নারাজ। এমতাবস্থায় বনদফতর তিনটি গন্ডারের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার বেলগাছিয়ায় পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। বনমন্ত্রী উদ্বেগের সঙ্গে বলেন,”জলদাপাড়ায় এইভাবে একের পর পর গন্ডারের মৃত্যু কেন হচ্ছে তা তদন্তের জন্য দফতরের অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছি।তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না গন্ডারগুলির মৃত্যু আদতে কি কারণে হয়েছে “। এদিকে রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, “জলদাপাড়ায় গন্ডার মৃত্যুর পিছনে অ্যানথ্রাক্সের আশঙ্কা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত গন্ডারগুলির রক্তের নমুনা কলকাতায় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রক্তের নমুনার রিপোর্ট পাওয়ার পরই গন্ডার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।” অন্যদিকে গত বুধবার জলদাপাড়ায় ২টি গন্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। আরও ১টি মুমূর্ষু গন্ডারকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে যে দুটি গন্ডার উদ্ধার হয়েছিল তাদের মধ্যে ১টির সঙ্গে ছিল আনুমানিক আড়াই মাসের একটি শাবক।ধুঁকতে থাকা গন্ডারটির সঙ্গেও আছে দুধের শাবক। প্রাথমিকভাবে অ্যানথ্রাক্সের আশঙ্কা করা হলেও, মৃত্যুর আসল কারণ ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই পাওয়া যাবে মনে করছে বন বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার উত্তরবঙ্গের প্রধান বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ জানান, ”বাইরে থেকে চারজন পশু চিকিৎসক আনা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে অসুস্থ স্ত্রী গন্ডারটির চিকিৎসা চলছে।”

Related posts

Leave a Comment