ফুটবল ময়দানে অজস্র সাফল্য পিকে-র
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : প্রয়াত হলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লাব কোচিংয়ে সাফল্য পেয়েছেন অজস্র। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ৩০টি ট্রফি দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে। ১৯৭২ সালে ইস্টবেঙ্গলকে ৫টি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। একটিও ম্যাচ না হেরে। ওই মরসুমে সেবার ইস্টবেঙ্গল মাত্র ৪টি গোল খেয়েছিল। ১৯৭০-৭৫ সালে ৬ বার টানা ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগ জয়ের ৪ বারের কান্ডারি পিকেই। আবার ১৯৭৩ সালে আইএফএ শিল্ডে পিয়ং ইয়ংকে হারানোর পরে সে বছর ডিসিএম-এ উত্তর কোরিয়ার অপর একটি টিম ডকরো গ্যাংকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, তারও নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। ১৯৭৫ সালে ডার্বিতে সর্বোচ্চ ফলাফল ইস্টবেঙ্গল-৫ ও মোহনবাগান-০। আইএফএ শিল্ড ফাইনালে এই রেকর্ড হয় তাঁর সময়েই।
আবার মোট ২৩টি ট্রফি দিয়েছেন মোহনবাগানকে। ১৯৯৭ সালে ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে মোহনবাগানকে ৪-১ ফলাফলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ভাইচুং ভুটিয়ার হ্যাটট্রিক। যুবভারতীতে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার দর্শক। ত্রি মুকুট – আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ ও ডুরান্ড কাপে জয় ১৯৭৭ সালে। মোহনবাগানের কোচ হয়ে এই সাফল্য এসেছিল। ১৯৭৭ সালে পেলে ম্যাচ হয়। পেলের কসমসের সঙ্গে ২-২ ফলাফলে ড্র হয়েছিল সেই ম্যাচ। আবার ১৯৭৮ সালে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের টিম আরারাতের সঙ্গে যুগ্মজয়ী হয়েছিল মোহনবাগান। ১৯৭৬-৭৯ সালে টানা ৪ বার মোহনবাগানের আইএফএ শিল্ড জয়। ওই সময় তিনি জুড়ে-জড়িয়ে ছিলেন দলের সঙ্গে। উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে অর্জুন পান পিকে। ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী, ওই সালেই ফিফা ফেয়ার প্লে পান তিনি। ২০০৪ সালে ফিফা অর্ডার অব মেরিট পান। ২০১১ সালে মোহনবাগান রত্ন সম্মান পান। এরপর ২০১৩ সালে বঙ্গবিভূষণ পেয়েছেন।