ফের মানবিকতার শিরোনামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সোনারপুরে করোনা আতঙ্কের আবহের মধ্যেই পুলিশের গাড়িতে সন্তান প্রসব। অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে সোনারপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউন পর্বে বুধবার সকালে সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকায় টহলরত ছিলেন আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী। সুভাষগ্রাম-ভবানীপুর এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে রাস্তার ধরে কান্না করতে দেখেন তিনি। আইসি-র প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলে ওই ব্যক্তি জানান। তাঁর স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠেছে। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স খুঁজলেও কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
তৎক্ষণাৎ আইসি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে পাড়ার লোকের সহায়তায় সন্তানসম্ভবা ওই মহিলাকে গাড়িতে তুলে সুভাষগ্রাম হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। তবে হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই পুলিশের গাড়িতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন সন্তানসম্ভবা মা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোনারপুর এলাকার ভবানীপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পেশায় শিয়ালদহ অঞ্চলের চানাচুর বিক্রেতা। নাম সুরিন্দর গুপ্ত। ভিন রাজ্যের বাসিন্দা সুরিন্দর ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি পুলিশের এই মানবিকতায় রীতিমতো অভিভূত। তাঁর বক্তব্য, “ভাগ্যিস থানার বড়োবাবু ঠিক সময়ে এসেছিলেন। লকডাউনের দিন কোথাও গাড়ি পাচ্ছিলাম না।”