Tapas PalLifestyle Others 

টলিউড কাঁপানো রোম্যান্টিক হিরো-র পথ চলা থামল

আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আটের দশকে বলিউডের বাঙালি পরিচালক হীরেন নাগের হাত ধরে মাধুরী দীক্ষিত ছবির জগতে পা রেখেছিলেন। ১৯৮৪ সালে মাধুরীর বিপরীতে অভিনয়ের জন্য হীরেন নাগ বেছে নিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ তাপস পালকেই। ওই সময় “দাদার কীর্তি”, “সাহেব”-এর মতো কিছু ছবি তাপস পালের ঝুলিতে ছিল। “অবোধ” ছবিতেই বলিউডে প্রথম কাজ করেছেন। তাপস পালের বলিউডের স্বপ্ন সফল না হলেও বাংলা ছবির দুনিয়ায় কয়েক দশক চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮০ সালে তরুণ মজুমদারের হাত ধরে প্রথম বড় পর্দায় আসা। “দাদার কীর্তি” দিয়ে শুরু করে “সাহেব”, “ভালবাসা ভালবাসা”, “গুরুদক্ষিণা”, “মঙ্গলদ্বীপ”, “পাপ পূণ্য”, “প্রতিধ্বনি”-সহ একাধিক হিট ছবি ছিল তাপস পালের অনবদ্য অভিনয়ের ফসল। সরল হাসি এবং অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে বাঙালি দর্শকের মনের গভীরে জায়গা করে নিয়েছিলেন চন্দননগরের যুবক। গোটা অভিনয় জীবনে তিনি প্রায় ১০০-র কাছাকাছি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর সব ছবি দর্শকের মনে জায়গা না করতে পারলেও অভিনয়ে খামতি ছিল না। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৩ সাল অবধি একাধিক পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করেছেন তাপস পাল। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় অন্য মাত্রা পায়। মিষ্টি মুখের এই নায়ককে তৎকালীন সময়ে স্বাগত জানিয়েছেন বাঙালি দর্শককূল। তরুণ মজুমদার থেকে শুরু করে বিজয় বসু, বীরেশ চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন চৌধুরী, অরবিন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, হরনাথ চক্রবর্তী, সুজিত গুহ-সহ একাধিক পরিচালকের ছবিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন তাপস। ২০১৩ সালে “খিলাড়ি” সম্ভবত তাঁর শেষ ছবি। চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে একসময় রাজনীতির আঙিনায় পা রেখে বিধায়ক ও সাংসদ হয়েছিলেন। কৃষ্ণনগর থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। এক সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে ভোরে যাত্রা শেষ হল এই অভিনেতার। হঠাৎই পূর্ণচ্ছেদ পড়ে গেল তাঁর অভিনয় জীবনেও।

Related posts

Leave a Comment