সাস্থসাথী কার্ডধারীরা বঞ্চিত হলে কড়া পদক্ষেপ মমতার
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: যে সমস্ত রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, তাদেরকে কোনো হাসপাতাল ফিরিয়ে দিলে লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা হতে পারে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের। দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এভাবেই হাসপাতাল গুলিকে সতর্ক করে দেন মমতা।
কোনো রোগী সমস্যায় পড়লে নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ করতে পারেন বলে তিনি পরামর্শ দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন- “যদি কেউ পরিষেবা না দেয় , তা হলে লাইসেন্স নিযে সমস্যা হবে। সরকারের থেকে লাইসেন্স নিয়ে হাসপাতাল চলে। কড়া পদক্ষেপ, জরিমানা করা হবে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে কি না তা ভেবে দেখা হবে।” স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলো ছাড়াও ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড চালু করার কথা ঘোষণা করেন।
কিন্ত আগের বছরে একজনের ওই কার্ড থাকা সত্বেও দুর্গাপুরের গান্ধীমোড়ের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ আসে।যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল ওই ব্যক্তির রোগীর পরিজনরা তাদের রোগীকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার জন্য।ওই বছরেই দুর্গাপুরের শোভাপুরের আর এক হাসপাতালের বিরুদ্বে বিল নিয়ে গড়িমসি করার অভিযোগ ওঠে। তবে তাদের দাবি ছিল রোগীর অবস্থার বিশদ তথ্য পাঠনো হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরে যা সংশ্লিষ্ট দপ্তর মঞ্জুর করেনি।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বলেন এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রল্পের কার্ড থাকা রোগীর পরিজনের অভিযোগ ৩২৫০টি। মমতা বেসরকারি হাসপাতেলর বিরুদ্বে ওঠা এমন অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসক এবং হাসপাতালগুলির মধ্যে চার-পাঁচ মাস অন্তর বৈঠক করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন হাসনপাতাল তো বিনা পয়সায় চিকিৎসা করছে না, অতএব হাসপাতালগুলি চালাতে গেলে অমানবিক হলে চলবেনা, মানবিক হতে হবে। স্বাস্থ্যসাথী আওতাভুক্ত রোগীদের অভিযোগ আসছে। কারো ঔদ্ধাত্ত্য মানা হবে না।
এসোসিয়েশন অফ হাসপিটাল ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সহ সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন- “রোগী ফেরত পাঠানো হয় কেবল শয্যা না থাকলে। সেক্ষেত্রে রোগীকে জরুরি পরিষেবা দিয়ে তবেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তিনি আরো বলেন প্রকল্পটি খুব ভালো। বেসরকারি হাসপাতালগুলির অর্থের পরিমান নিয়ে পুনর্বিবেচনা করলে বিষয়টি জনপ্রিয় হবে।”