দ্বিতীয় দফায় শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ রাজ্য সরকারের
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: একুশের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের। ২০২১ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ বিধানসভার নির্বাচন। শাসক দলের সামনে সময় ১ বছর ২ মাস। রাজ্য বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেটের দিকে নজর ছিল আম জনতার। দেশজুড়ে আর্থিক মন্দার মধ্যেও এবারের রাজ্য বাজেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। বাজেট পেশের শুরুতে দেশ চরম দুর্দশার মধ্যে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতি ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর। বিগত ৮ বছরে সর্বনিম্ন দেশের জিডিপি। এছাড়াও গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করলেন তিনি। ২০২০-র রাজ্য বাজেট ভাষণে তিনি বলেন, “গৃহনির্মাণ ও ক্ষুদ্রশিল্পে সারা দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলা।” বাংলায় ২২,২৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথাও তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। সংখ্যালঘুদের জন্য এবং স্বাস্থ্য প্রকল্পে আরও গুরুত্বের কথাও বাজেটে জানান তিনি।
একনজরে বাজেটের খুঁটিনাটি:– (১) প্রতি বছর ৩ লক্ষ বেকারের আয়ের সংস্থান। (২) বেকারদের জন্য “কর্মসাথী” প্রকল্পে ৫০০ কোটি বরাদ্দ। (৩) ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২ বছরে রাজ্যে আরও ৩টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা। (৪) সামাজিক সুরক্ষায় “বাংলা শ্রী” নামে নতুন প্রকল্প। (৫) ৩ মাসে যাঁরা ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করবেন, তাঁদের জন্য “হাসির আলো” প্রকল্পের ঘোষণা। (৬) চা বাগানে কৃষি আয়কর সম্পূর্ণ মুকুব। (৭) ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনও মামলার নিষ্পত্তি। পুরোনো মামলা মেটাতে দরকারে আরও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গড়বে রাজ্য। (৮) গৃহহীন চা শ্রমিকদের জন্য “চা সুন্দরী” প্রকল্পের ঘোষণা। (৯) ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ তফশিলি মানুষের জন্য “জয় জহর” প্রকল্পে ১,০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতার সংস্থান। (১০) আগামী ১ এপ্রিল থেকে “নতুন উৎসাহ” প্রকল্প। (১১) সহজ শর্তে বেকারদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ। (১২) বড় শিল্পে ৪.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব। (১৩) স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার ট্রেনিংয়ের জন্য অ্যাকাডেমি গড়া হবে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে। (১৪) মোটর ভেহিক্যালের জরিমানা মুকুবের প্রস্তাব।
বাংলার উল্লেখযোগ্য সাফল্য:– রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ এবং শিল্প বৃদ্ধির হার বেড়েছে ৩.১ শতাংশ। নতুন ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনেও বাংলা অন্য রাজ্যকে দিশা দেখিয়েছে।