গরীবদের স্যানিটাইজার বিতরণ করে মানবিকতা
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ভারতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সতর্কতায় বাংলায় বিভিন্ন অঞ্চলে ‘লকডাউন’ ঘোষণা।রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতি।করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচবার একমাত্র উপায় ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার।বাজার থেকে তা উধাও এই সময়।বেশি দাম দিয়েও তা পাওয়া যাচ্ছে না।এই জীবাণুনাশকের আকাল।এমনই এক এক সংকটময় পরিস্থিতিতে মানুষকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দিতে আসরে গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে এই জীবানুনাশক স্যানিটাইজার। এর পর তা গরীবদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বিনা পয়সায়।ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী অরিজিৎ জানার নেতৃত্বে রসায়নের শিক্ষক রাজকুমার দাস ও রসায়নের কৃতি ছাত্র সায়ন হাইতরা এই জীবাণুনাশক তৈরি করেছেন। অরিজিৎ জানা জানিয়েছেন , তাঁরা মূলত অ্যালকোহল,প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা,পাতিত জল ব্যবহার করে এই স্যানিটাইজারটি তৈরি।তাঁদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলি গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ও বাগনান-১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে বিনা পয়সায় হাজার মানুষকে বিতরণ করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।সংস্থার সম্পাদক তাপস পাল বলেন,”শিক্ষায় স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আমরা সারাবছর কাজ করলেও;সারা বিশ্বব্যাপী উদ্ভুত এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”তিনি আরও জানান,প্রথম পর্যায়ে ৩০ মিলিলিটারের ২০০০ টি বোতলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করে মানুষকে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় কিছু উচ্চ বিদ্যালয়। স্থানীয় সূত্রের খবর,উদং-ফতেপুর-সোনামুই,আগুন্সী,ভূঁয়েড়া,পূর্ণাল গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বোতলগুলি।এছাড়া সংস্থার পক্ষ প্রত্যেক পরিবারকে দিনে ৩ বার স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ ও মাস্ক ব্যবহার এবং বাড়ি থেকে না বেরানোরও আর্জি জানানো হয়েছে।