মধ্যপ্রদেশে টালমাটাল সব রাজনৈতিক শিবির
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতিতে নাটক অব্যাহত। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়করা নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক। বরং তাঁরা চান, একটি পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন করতে। শোনা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়া মধ্যপ্রদেশের বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অনুসরণ করে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে বেঁকে বসেছেন। এই প্রসঙ্গে কর্নাটক কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, শীঘ্রই তাঁরা নিজের রাজ্যে ফিরে যাবেন।
“কংগ্রেসে থেকে রাজ্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়। নতুন করে শুরু করতে চাই,” এই মর্মে অন্তবর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে মঙ্গলবার ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর অনুগামী ২০ জন কংগ্রেস বিধায়কও তাঁদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজভবনে। যদিও জ্যোতিরাদিত্য ইস্তফা গ্রহণ না করে, দল-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এরপরই বুধবার পদ্মশিবিরে যোগ দেন মাধবরাওয়ের উত্তরসূরি।
জ্যোতিরাদিত্যর ইস্তফায় মধ্যপ্রদেশে কার্যত ছত্রভঙ্গ দশা হয়েছে কংগ্রেসের। দলের বিদ্রোহে কমলনাথ সরকার পতনের মুখে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ দাবি করেছেন, কোনও টালমাটাল নয়, মধ্যপ্রদেশে পুরো মেয়াদই ক্ষমতায় থাকবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, এদিন বিশেষ বিমানে ৮৮ জন কংগ্রেস ও ৪ জন নির্দল বিধায়ককে জয়পুর উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে হাতশিবির। জয়পুর উড়ে যাওয়ার আগে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সজ্জন সিং ভার্মা দাবি করেছেন, কেউ সিন্ধিয়ার সঙ্গে যেতে চান না। তাঁদের দাবি, তাঁদের ভুল বোঝানো হয়েছে, ভুল বুঝিয়ে তাঁদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।