দুই সাংবাদিকের একান্ত প্রচেষ্টায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল
আমার বাংলা অনলাইন নিউজ ডেস্ক: জম্মু—কাশ্মীরে অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এসবের মধ্যেও দুই সাংবাদিকের একান্ত প্রচেষ্টায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। ফের জয় হল মানবিকতার। ১২ বছরের এক পাকিস্তানি ছেলের জন্য ভারতের সীমান্ত খুলে দিল ভারত সরকার।
জানা গিয়েছে, গত মাসেই নয়ডার এক হাসপাতালে হার্ট সার্জারি করাতে এসেছিল পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা ১২ বছর বয়সী সাবি ও তার বাবা-মা। ফুটফুটে সাবির অস্ত্রোপচার হয় গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি। সেদিন থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সে হাসপাতালেই ভর্তি ছিল। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর ওই পরিবার তড়িঘড়ি আটারি বর্ডার পৌঁছন তাঁদের মাতৃভূমি পাকিস্তানে ফেরার জন্য।
সেখানে যাওয়ার পরই তাঁরা জানতে পারেন, বর্ডারে পারাপার বন্ধ। দেশে ফেরার জন্য তাঁরা বারংবার ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগের আধিকারিকদের অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ইমিগ্রেশন বিভাগের আধিকারিকরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই সাবি ও তার বাবা—মাকে পাকিস্তান ফেরত যাওয়ার অনুমতি দিতে পারছিলো না। অগত্যা কোনও উপায় না পেয়ে সাবির বাবা পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত ঘটনা জানান। তৎক্ষণাৎ ওই পাকিস্তানি সাংবাদিক অমৃতসরের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
দুই দেশের এই দুজন মানবিক সাংবাদিক নিজেদের প্রচেষ্টায় নিজের দেশের সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সাহায্য চান। তারপর পরিস্থিতি বিচার করে ১২ বছরের সাবির জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। তিনজন পাকিস্তানির জন্য তড়িঘড়ি স্পেশাল পাস তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন এতদিন সাবির ও তাঁর বাবা—মাকে অমৃতসরে নিজের বাড়িতেই রাখেন অমৃতসরের সাংবাদিক রবিন্দর সিং। ফিরে যাওয়ার আগে রবিন্দর সিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় সাবি ও তাঁর পরিবার। সাবিরের বাবা বলেন, ভারত কখনও কাউকে ফেরায় না। আমি ভারতের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।